বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে গভর্নর এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ভালো মানের এমডি পাওয়া এখন বড় সমস্যা। এমনকি ভালো হেড অব ডিপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেটা করপোরেট বিভাগ হোক বা কনজিউমার বিভাগ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবলের ঘাটতি স্পষ্ট।
গভর্নর বলেন, ব্যাংক ঋণে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। একজন গ্রাহক ৩০টি ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। এক্সপোজারের সীমা অতিক্রম। যা রোধ করার দায়িত্ব ব্যাংকের। কিন্তু একজন গ্রাহক কোনোভাবে তা করতে পারে না, যদি এমডি ও ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাধা দিতেন।
গভর্নর আরও বলেন, ‘প্রপার নলেজ ও প্রপার ট্রেইনিংপ্রাপ্ত এমডি আমরা পাচ্ছি না। এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য একধরনের ব্যর্থতা। ফলে সামনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে।’
ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যখন ডিজিটাল ব্যাংকিং ও আধুনিক প্রশাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন প্রতিটি সেক্টরে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক এখনো ভারতীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করছে। বাংলাদেশে এখনো নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদ ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, প্রশিক্ষিত কিন্তু মানসিকভাবে সঠিকভাবে প্রস্তুত নয় এমন জনবল অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত জনবলের চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে। আগামী চার-পাঁচ মাসে আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে গভর্নর এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ভালো মানের এমডি পাওয়া এখন বড় সমস্যা। এমনকি ভালো হেড অব ডিপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেটা করপোরেট বিভাগ হোক বা কনজিউমার বিভাগ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবলের ঘাটতি স্পষ্ট।
গভর্নর বলেন, ব্যাংক ঋণে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। একজন গ্রাহক ৩০টি ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। এক্সপোজারের সীমা অতিক্রম। যা রোধ করার দায়িত্ব ব্যাংকের। কিন্তু একজন গ্রাহক কোনোভাবে তা করতে পারে না, যদি এমডি ও ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাধা দিতেন।
গভর্নর আরও বলেন, ‘প্রপার নলেজ ও প্রপার ট্রেইনিংপ্রাপ্ত এমডি আমরা পাচ্ছি না। এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য একধরনের ব্যর্থতা। ফলে সামনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে।’
ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যখন ডিজিটাল ব্যাংকিং ও আধুনিক প্রশাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন প্রতিটি সেক্টরে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক এখনো ভারতীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করছে। বাংলাদেশে এখনো নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদ ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, প্রশিক্ষিত কিন্তু মানসিকভাবে সঠিকভাবে প্রস্তুত নয় এমন জনবল অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত জনবলের চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে। আগামী চার-পাঁচ মাসে আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
আপনার মতামত লিখুন