ঢাকা    বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
খোলা বার্তা

উদ্বেগজনকভাবে দেশে বেড়েছে দারিদ্রের হার: বিশ্বব্যাংক



উদ্বেগজনকভাবে দেশে বেড়েছে দারিদ্রের হার: বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে ২১.২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪.৮ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে, কর্মসংস্থানের বাজার ভালো অবস্থায় নেই এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট'-এ এই তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। ২০২৪ অর্থবছরে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, তা ২০২৫ অর্থবছরে ২১.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।

শ্রমবাজারেও দেখা দিয়েছে গভীর সংকট। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতনের একটি বড় কারণ হলো নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস। প্রায় ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এই পরিসংখ্যান নারীদের কর্মসংস্থান সংকটের এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সময়ে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গেছে। এর ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে (৬৯.১ মিলিয়ন)। কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি এবং নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের কারণে সামগ্রিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্মসংস্থানের অবস্থার আরও অবনতি ঘটিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দারিদ্র্য নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

খোলা বার্তা

বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫


উদ্বেগজনকভাবে দেশে বেড়েছে দারিদ্রের হার: বিশ্বব্যাংক

প্রকাশের তারিখ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

বিশ্বব্যাংকের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে ২১.২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪.৮ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে, কর্মসংস্থানের বাজার ভালো অবস্থায় নেই এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট'-এ এই তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। ২০২৪ অর্থবছরে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, তা ২০২৫ অর্থবছরে ২১.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।

শ্রমবাজারেও দেখা দিয়েছে গভীর সংকট। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতনের একটি বড় কারণ হলো নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস। প্রায় ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এই পরিসংখ্যান নারীদের কর্মসংস্থান সংকটের এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সময়ে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গেছে। এর ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে (৬৯.১ মিলিয়ন)। কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি এবং নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের কারণে সামগ্রিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্মসংস্থানের অবস্থার আরও অবনতি ঘটিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দারিদ্র্য নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


খোলা বার্তা

সম্পাদক ও প্রকাশক : দীপক কুমার কর
নির্বাহী সম্পাদক : সাইদুল ইসলাম আবির।
মোবাইল: ০১৭৫০-৭০৭৬৩৬
ই মেইল: kholabartaonline@gmail.com
কপিরাইট © ২০২৫ খোলা বার্তা । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত