ঢাকা    মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
খোলা বার্তা

ঘুষের পরও গ্রেপ্তার, হামলা চালিয়ে আ.লীগ নেতাকে হাতকড়াসহ ছিনতাই



ঘুষের পরও গ্রেপ্তার, হামলা চালিয়ে আ.লীগ নেতাকে হাতকড়াসহ ছিনতাই

‎বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাসে তিনি এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।

‎গতকাল শনিবার রাতে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করলে গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ তাঁকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় রাতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের নামে থানায় মামলা করা হয়।


‎শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু এখনো গ্রেপ্তার হননি। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। আর এসআই মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। ওসি জানান, এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রাজুসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।


‎পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসআই মামুন এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাড়ি থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরান। এ সময় রাজুর পরিবারের সদস্য ছাড়াও গ্রামবাসী পুলিশকে ঘিরে ধরে এবং হামলা চালিয়ে রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেন।

‎রাজুর পরিবারের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগে এসআই মামুন রাজুকে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাস দিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। সেই আশ্বাস ভঙ্গ করেই তিনি শনিবার রাতে রাজুকে গ্রেপ্তার করেন। এ কারণেই পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, ‘শনিবার রাতে রাজুর বাড়ি থেকে মহিলাদের চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। দেখি সাদাপোশাকে দুই ব্যক্তি মহিলাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। পরে জানতে পারি, তাঁরা থানার পুলিশ।’

‎ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া আসামি এবং পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এসআই মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে

আপনার মতামত লিখুন

খোলা বার্তা

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫


ঘুষের পরও গ্রেপ্তার, হামলা চালিয়ে আ.লীগ নেতাকে হাতকড়াসহ ছিনতাই

প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

‎বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাসে তিনি এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।

‎গতকাল শনিবার রাতে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করলে গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ তাঁকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় রাতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের নামে থানায় মামলা করা হয়।


‎শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু এখনো গ্রেপ্তার হননি। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। আর এসআই মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। ওসি জানান, এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রাজুসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।


‎পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসআই মামুন এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাড়ি থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরান। এ সময় রাজুর পরিবারের সদস্য ছাড়াও গ্রামবাসী পুলিশকে ঘিরে ধরে এবং হামলা চালিয়ে রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেন।

‎রাজুর পরিবারের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগে এসআই মামুন রাজুকে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাস দিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। সেই আশ্বাস ভঙ্গ করেই তিনি শনিবার রাতে রাজুকে গ্রেপ্তার করেন। এ কারণেই পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, ‘শনিবার রাতে রাজুর বাড়ি থেকে মহিলাদের চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। দেখি সাদাপোশাকে দুই ব্যক্তি মহিলাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। পরে জানতে পারি, তাঁরা থানার পুলিশ।’

‎ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া আসামি এবং পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এসআই মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে


খোলা বার্তা

সম্পাদক ও প্রকাশক : দীপক কুমার কর
নির্বাহী সম্পাদক : সাইদুল ইসলাম আবির।
মোবাইল: ০১৭৫০-৭০৭৬৩৬
ই মেইল: kholabartaonline@gmail.com
কপিরাইট © ২০২৫ খোলা বার্তা । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত