সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কোহিত তেতুলিয়া গ্রামের ইসমাইলের বাড়ি থেকে আফসার আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় হাঁটুসমান কাদা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হন অনেকে। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদা-পানিতে তলিয়ে যায়; তখন হাঁটা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, বরাত আলী, আব্দুল খালেক, সোহরাব আলী, আক্কাস আলী, আকবর আলী, জিল্লুর রহমান তোতা, আব্দুর রাজ্জাক, আ. রহিম ও আবুল কালাম বলেন,
“বর্ষার সময় হাঁটু পর্যন্ত কাদা-পানিতে ডুবে চলাচল করতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে ও কৃষকদের বাজারে ফসল নিয়ে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”
স্থানীয় যুব নেতা ও তাড়াশ পৌর শাখার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক খোলা বার্তাকে বলেন, “এই রাস্তার কারণে আমাদের চলাচলে ভীষণ কষ্ট হয়। বর্ষার সময় হাঁটু পর্যন্ত কাদায় ডুবে যেতে হয়। জরুরি সময়ে রোগী পরিবহন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। বহুবার কর্তৃপক্ষকে বললেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে এবং গ্রামবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা জরুরি।”
তাড়াশ পৌরসভার প্রকৌশলী মো. মকুল হোসেন জানান, “রাস্তাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকা অফিসে পাঠানো হবে এবং অতি দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার এই বেহাল অবস্থা শুধু দৈনন্দিন জীবন নয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়া, গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানো—সব ক্ষেত্রেই চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
গ্রামবাসীর দাবি, কোহিত তেতুলিয়ার এই ২০০ মিটার রাস্তা দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কোহিত তেতুলিয়া গ্রামের ইসমাইলের বাড়ি থেকে আফসার আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় হাঁটুসমান কাদা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হন অনেকে। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদা-পানিতে তলিয়ে যায়; তখন হাঁটা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, বরাত আলী, আব্দুল খালেক, সোহরাব আলী, আক্কাস আলী, আকবর আলী, জিল্লুর রহমান তোতা, আব্দুর রাজ্জাক, আ. রহিম ও আবুল কালাম বলেন,
“বর্ষার সময় হাঁটু পর্যন্ত কাদা-পানিতে ডুবে চলাচল করতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে ও কৃষকদের বাজারে ফসল নিয়ে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”
স্থানীয় যুব নেতা ও তাড়াশ পৌর শাখার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক খোলা বার্তাকে বলেন, “এই রাস্তার কারণে আমাদের চলাচলে ভীষণ কষ্ট হয়। বর্ষার সময় হাঁটু পর্যন্ত কাদায় ডুবে যেতে হয়। জরুরি সময়ে রোগী পরিবহন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। বহুবার কর্তৃপক্ষকে বললেও এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে এবং গ্রামবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা জরুরি।”
তাড়াশ পৌরসভার প্রকৌশলী মো. মকুল হোসেন জানান, “রাস্তাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকা অফিসে পাঠানো হবে এবং অতি দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার এই বেহাল অবস্থা শুধু দৈনন্দিন জীবন নয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়া, গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানো—সব ক্ষেত্রেই চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
গ্রামবাসীর দাবি, কোহিত তেতুলিয়ার এই ২০০ মিটার রাস্তা দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
আপনার মতামত লিখুন