সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ব্রিজ না থাকায় স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে কৃষকসহ ২৫-৩০ গ্রামের লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ এই সময়ে জনপ্রতিনিধিরা আসছেন-গেছেন, ভোটের সময় অঙ্গীকারও করেছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি!
উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদীর দু পারে লাখো মানুষের বসবাস। এই নদী পারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথ নৌকা। দেশের সকল জায়গা উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও ছোয়া লাগেনি উপজেলার ঘুড়কা ও ধানগড়া এই দুই ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদী পাড়ে মানুষের যাতায়ত ব্যবস্থায় ।
রায়গঞ্জ বাজার ও উপজেলা সদর আসা যাওয়ার সোজা পথ। তাই প্রতিদিন দুর দুরন্ত থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জয়ানপুর খেয়াঘাট দিয়ে চলাফেরা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ, ধানগড়া, জয়ানপুর, বেষ্টপুর, বেংঙনাই, তেগুরী, গংগা রামপুর, আটঘরিয়া, দরবস্ত, বাসুরিয়া, বেগমপুর, অপরদিকে ঘুড়কা ইউনিয়নের জঞ্জালীপাড়া, নাঙলমোরা, কালীকাপুর, দাদপুর, সাহেবগঞ্জ গ্রামের মানুষ ঐ সাঁকো বেয়ে রাতদিন চলাফেরা করছেন।
স্থানগুলোর আশেপাশে ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্মশান, বাজার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রয়েছে নানান সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্টান। তাই প্রতিনিয়ত শতশত জনসাধারন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে নদীর এপার থেকে ঐপার।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা সবাই কথা দিয়েছেন। ভোট নিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আসেন ভোট চাইতে, ওয়াদা করেন ব্রিজ করে দেবেন। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর কথা রাখেন না।
স্থানীয়রা আরও বলেন, উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীর জয়ানপুর স্থানে সেতুর অভাবে ভাগ্য পাল্টাতে পারছে না ধানগড়া, ঘুড়কা ইউনিয়নসহ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নদী পারাপার হচ্ছে। এ স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের। সেতু নির্মিত হলে পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। সহজে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে। সেতু হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আমদানিসহ বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার।
রায়গঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে একটি টিম এসে দেখে গেছেন। আশা করি খুব শীগ্রই বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করে ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ব্রিজ না থাকায় স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে কৃষকসহ ২৫-৩০ গ্রামের লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ এই সময়ে জনপ্রতিনিধিরা আসছেন-গেছেন, ভোটের সময় অঙ্গীকারও করেছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি!
উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদীর দু পারে লাখো মানুষের বসবাস। এই নদী পারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথ নৌকা। দেশের সকল জায়গা উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও ছোয়া লাগেনি উপজেলার ঘুড়কা ও ধানগড়া এই দুই ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদী পাড়ে মানুষের যাতায়ত ব্যবস্থায় ।
রায়গঞ্জ বাজার ও উপজেলা সদর আসা যাওয়ার সোজা পথ। তাই প্রতিদিন দুর দুরন্ত থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জয়ানপুর খেয়াঘাট দিয়ে চলাফেরা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ, ধানগড়া, জয়ানপুর, বেষ্টপুর, বেংঙনাই, তেগুরী, গংগা রামপুর, আটঘরিয়া, দরবস্ত, বাসুরিয়া, বেগমপুর, অপরদিকে ঘুড়কা ইউনিয়নের জঞ্জালীপাড়া, নাঙলমোরা, কালীকাপুর, দাদপুর, সাহেবগঞ্জ গ্রামের মানুষ ঐ সাঁকো বেয়ে রাতদিন চলাফেরা করছেন।
স্থানগুলোর আশেপাশে ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্মশান, বাজার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রয়েছে নানান সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্টান। তাই প্রতিনিয়ত শতশত জনসাধারন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে নদীর এপার থেকে ঐপার।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা সবাই কথা দিয়েছেন। ভোট নিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আসেন ভোট চাইতে, ওয়াদা করেন ব্রিজ করে দেবেন। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর কথা রাখেন না।
স্থানীয়রা আরও বলেন, উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীর জয়ানপুর স্থানে সেতুর অভাবে ভাগ্য পাল্টাতে পারছে না ধানগড়া, ঘুড়কা ইউনিয়নসহ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নদী পারাপার হচ্ছে। এ স্থানে সেতু নির্মাণের দাবি এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের। সেতু নির্মিত হলে পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। সহজে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে। সেতু হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আমদানিসহ বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার।
রায়গঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে একটি টিম এসে দেখে গেছেন। আশা করি খুব শীগ্রই বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করে ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন